বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ৫৫ হাজার মেম্বারদের ১১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মূখে শান্তি সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার মেম্বার এই সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার এসোসিয়েশন এর কর্মসূচী সমন্বয়ক এস,এম ফরিদ রানার সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সমন্বয়ক মুহা. এস আই শাহীন সাফওয়ানের পরিচালানায় বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাডঃ খালিদ হোসেন, সাংবাদিক শেখ রোকনুজ্জামান, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মুন্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সালেহ বসির ও নাহিদ মুন্সি, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও শেখ আব্দুল মুকিত, মোঃ ফারুক হোসেন, মাওলনা খালেদ আহমমেদ, মোঃ মাহবুবুর রহমান, এসএম মিজানুর রহমান মিজান, আফজাল হোসেন, তারিকুজ্জামান সেন্টু হাওলাদার, মোঃ রেজাউল মুন্সী, আসলাম হোসেন, বোরহান আক্তার, নবী হোসেন, অনামিকা হক প্রিয়াঙ্কা, জাহানারা বেগমসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, একজন ইউপি মেম্বার জনগণের সেবা দিতে রাত-দিন পরিশ্রম করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়ক হিসেবে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করেন অথচ তাদের সম্মানী ভাতা খুবই লজ্জ্বাজনক, যাহা লোকসম্মূখে বলা যায় না। সরকার রাজস্ব খ্যাত থেকে মাত্র ৩ হাজার ৬শত টাকা প্রদান করেন। আর ইউনিয়ন পরিষদ অংশ থেকে ৪ হাজার ৪ শত টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও আদৌ তা দেওয়া হয়না। যেকারণে মেম্বারদের সম্মানি ভাতা বৃদ্ধি, ওয়ার্ড কার্যালয় স্থাপন, বৈষাম্য দূর করে ক্ষমতায়ন, উপজেলা আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভায় প্রতিনিধিত্ব, তদন্ত ছাড়া মামলা গ্রহণ বা আটক না করা, অহেতুক প্রশাসনিক হয়রানি না করা, স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি এড়াতে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ওয়ারেশ কায়েমসহ সকল সনদ প্রদানের ক্ষমতা,
ইউপি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে টিএডিএ প্রদানসহ নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার দাবী জানান। তারা বলেন, দেশের গ্রাম পর্যায়ে অর্ধলক্ষের অধিক মেম্বার তৃণমুলের একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সেবা নিশ্চিত করে চলেছেন। অথচ সম্প্রতি দেশের কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে " এবার ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার অপসারণ হতে যাচ্ছে" এমন সংবাদে বিস্মিত ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া মেম্বরগণ বলেন, মেম্বাররা কোন দলীয় প্রতিক নিয়ে নয়, বরং ব্যক্তি ইমেজে তুুমুল প্রতিদ্বন্ধিতা করে নির্বাচিত হয়ে আসছেন, সুতরাং কোন ভাবেই মেম্বারদের অপসারণ করলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা কর্যক্রমের মূখ থুবড়ে পড়বে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ।
মেম্বাররা বর্তমান সরকারের প্রতিনিধি বা সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। সুতরাং তাদের অবারিত কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হোক। নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের দাবী আদায়ের লক্ষ্যে সাংগঠনিক ভাবে পরবর্তী কর্মসূচি হবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক ও উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।